Wednesday, March 21, 2018

আকাইম্মার গাজীপুর সব চেয়ে জঙ্গির আস্তানা বেশী কেন?

আকাইম্মার গাজীপুর

গাজীপুরেই বাংলাদেশের সব চেয়ে বেশী জঙ্গিদের আস্তানা এবং এদের সাথে আ ক ম মোজাম্মেল হকের আর্থিক লেনদেন সহ সুসম্পর্ক রয়েছে। যেমন রয়েছে কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র উকিল জামাই মজিবর রহমানের সাথে। ১৪ বছর মজিবর কে অবৈধ মেয়র হিসেবে টিকিয়ে রেখেছে আকম মোজাম্মেল হক এবং এর জন্য অনেক আর্থিক সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে আইকাম্মা হক। কথিত রয়েছে যে কোন আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাদের অনুরোধে আকাইম্মার নিকট কোন কাজ হয়না অথচ এই ভূয়া ভন্ড অবৈধ মেয়র বললেই কাজ হয়ে যায়। কালিয়াকৈরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের গোপনে এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করা একান্ত বাঞ্ছনীয় নইলে গাজীপুরে নৌকার ভরাডুবি নিশ্চিত। কারন কোন নৌকার ভোটার আকাইম্মা মোজাম্মেল বদমেজাজী রগচটা ছাগলকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না। শুধু দলের প্রশ্নেই ছেলেরা মূখ খুলতে সাহস পায়না। তাহলে আবার মোজাম্মেল বি এন পি উকিল জামাইর সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা মামলা করায়।

Friday, March 16, 2018

বিচার কেউ না কেউ তো করবেন, হয় শেখ হাসিনা নয়তো রোজ কিয়ামতের দিন আল্লাহু রাব্বুল আল আমিন


বিচার কেউ না কেউ তো করবেন, হয় শেখ হাসিনা নয়তো রোজ কিয়ামতের দিন আল্লাহু রাব্বুল আল আমিন

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং জামূকার যে দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি লুণ্ঠন এর সুফল বা কুফল আওয়ামী লীগের ঘাড়েই চাপবে। এ ব্যর্থতা এড়াবার আওয়ামী লীগের কোন পথ নেই। কেউ সত্য কথা বললেই আওয়ামী বিরোধী হয় না; কেউ উচিত কথা বললেই বেয়াদপ হয় না; কাউকে না কাউকে ত সত্য বলতেই হয়। তবে হ্যা সত্যবাদীদের পাল্লা হালকা হয়, সংখ্যায় হয় লঘু আর মিত্যাবাদীদের পাল্লা হয় ভারী সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারনে।

সত্য বলার অপরাধেই জাতিরজনক বংগতাজ তাজুদ্দিন সাহেব কে মোস্তাক গং এর প্ররোচনায় উস্কানীতে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বহিস্কার করে বঙ্গবন্ধু একটি বড় ভুল করেছিলেন- এ কথা সকল আওয়ামী বুদ্ধিজীবী জ্ঞানি গুনি নীতি নির্ধারকগণ কোন না কোন ভাবে স্বীকার করেছেন এবং সে সামান্য ভুলের কারনেই বাঙ্গালী জাতিকে এতিম হতে হয়েছিল ১৫ই আগষ্ট।

২১ বছর পিছিয়ে পড়েছিল বাঙ্গালী জাতি এবং মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মূছে পাক তন্ত্রে প্রজন্মের শিশু কিশোর যুবক যুবতিতের মগজ ধোলাই করেছিল খুনি জিয়া শাহ আজিজ নিজামী গোলাম আযমের দল। ফলে ২১ বছরে বেড়ে ওঠা একজন ছাত্র যুবক জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর পরিবর্তে জিয়াকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের মহা নায়ক স্বাধীনতার ঘোষক এমন কি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে জেনে এসেছে। এর জন্য ঐ কিশোর যুবককে দায়ী করা চলে না কারন ওরা জানেই না বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন?

"প্রয়াতঃ ফণীভূষণ মজুমদারের একটি সাক্ষাতকার প্রচার করে জিয়ার অনুসারীরা মিডিয়ায় বলে বেড়িয়েছে যে ২৬শে মার্চ শেখ মুজিব স্বাধীনতা চায়নি পাকিস্তানী সেনাদের নিকট আত্ম সমর্পণ করে নিজের জীবন বাচিয়েছে"
এবং তখন জিয়াউর রহমান সাড়ে সাত কোটি মানুষের হাল ধরে নিজে কালুরঘাট রেডিও ষ্টেশন দখল করে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয় এবং যুদ্ধ শুরু হয়"

এই যে মিথ্যাচার! এই যে সত্যকে ঢেকে সাজিয়ে গুছিয়ে সংঘবদ্ধ চক্রের প্রচারের ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার গভীর চক্রান্ত! এ চক্রান্তে জিয়া নিজামী সাকার দল অনেকাংশেই সফলকাম হতে চলছিল। যদি ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু তনয়া ক্ষমতায় না আসতেন হয়তো জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নামই ইতিহাসের কোন পাতায় খুজে পাওয়া যেতনা।
কি ঘটতো তাহলে বাঙ্গালী জাতির কপালে? তা' ভাগ্য বিধাতাই জানতেন। ২১ বছর পরে হলেও স্বপরিবারে জাতিরজনক হত্যার বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।
জিয়া -খালেদা জিয়া বি এন পি জামাত শুধু কি জাতিরজনকের নামই মুছে ফেলতে চেয়েছিল? না ওরা মহান মুক্তিযুদ্ধের সফল নায়ক জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি; জাতিরজনকের অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধকে নেতৃত্ব প্রদান করে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এই জাতীয় নেতা/নেত্রিদের মহান ত্যাগ আত্মদান কঠোর শ্রম ও সফলতার ইতিহাসও জিয়া পরিবার ও যুদ্ধাপরাধী জামাত ই ইসলাম ঐক্যবদ্ধ ভাবে কোটি জনতার মন থেকে মুছে ফেলে জিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল " পাকিস্তান আই এস আই'র পরামর্শ অনুযায়ী "ইসলামিক রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ"
১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৮-২০১৭ সময়কালীন শাসনামলে কি বঙ্গবন্ধু তনয়া ২১ বছরের জঞ্জাল পরিস্কারে সফল হয়েছেন? অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বের ফলে আজ মানুষ পেট ভরে ভাত খায় দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় ক্ষমতার আয়ত্বে এবং বৈদেশিক মূদ্রার ভান্ডার পরিপূর্ণ। দুর্নীতি কমে আসছে-রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ট শিক্ষা কর্ম সংস্থান প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ উন্নয়নের সু বাতাসে বাংলার মানুষ হাসি আনন্দে উল্লাসে নতুন করে বেচে থাকার প্রেরণা পেয়েছে।
কিন্তু ২১ বছরের জঞ্জাল কি আদৌ পরিস্কার করতে পেরেছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা?
না পারেন নি; কারন যখনি তিনি মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেছেন - ঐ পরিষদে একটা দু'টা দুর্নীতিবাজ অপকর্মের নায়ক ঢুকে পড়েছে। ফলে কোথাও না কোথাও ব্যর্থতা থেকে গেছে। সে কারনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টাও কম করেন নি। প্রথম টার্মে সৈয়দ আবুল হোসেন ও বংগতাজ তাজুদ্দিন ভ্রাতা আফসার উদ্দিন । দ্বিতীয় টার্মে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং পদ্মাসেতুর টেন্ডার সংক্রান্ত ডঃ ইউনুস ও হিলারী ক্লিন্টনের মিথ্যে প্ররোচনায় বিশ্ব ব্যাংকের ভিত্তিহীন বানোয়াট দুর্নীতির অপবাদের কারনে পুনরায় সৈয়দ আবুল হোসেন কে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বহিস্কার করে প্রমান করেছেন যে তিনি শেখের বেটি। এমন কি বিগত টার্মে আপন চাচাত ভাই ফুফাত ভাইদের কিছু নীতি বিবর্জিত কাজের কারনে কোন ভাইকে দ্বিতীয় টার্মে মন্ত্রী পরিষদে ঠাই দেননি।

এবার আসল কথায় আসিঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল শক্তি মুক্তিযোদ্ধা। সে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নে স্বাধীনতাত্তোর সরকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নে যে সকল ভুল ত্রুটি হয়ে এসেছে এবং সে কারনে যে সকল সমস্যাদির সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং ঐ একই কারনে মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল যুদ্ধ সৈনিকের নাম তালিকায় আসেনি; সে বৃহৎ সমস্যাকে আওয়ামী লীগ সমাধানে সফল হয়নি বরং অদক্ষ রগচটা বদমেজাজী খ্যাত আ ক ম মোজাম্মেল হককে দায়ীত্ব দেয়ার কারনে জাতীয় জটিল সমস্যাটি আরো গভীরভাবে জটলা পাকিয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার সারা জীবনের সফলতাকে কলুষিত করে ধুলায় লুন্ঠিত করেছে।
সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন সঠিক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের খুজে বেড় করে তালিকাভুক্তকরণ এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যারা ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত তালিকাভুক্ত হয়েছে, সে সকল ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাতিল করার ক্ষেত্রে একটু যুগোপযুগি সিদ্ধান্তগ্রহণের মাধ্যমে স্বচ্ছ সঠিক তালিকা তৈরীর বিষয়ে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্বেও বর্তমান মন্ত্রীর যোগ্যতা তিনি প্রমান করতে পারেন নি বরং ১৯৯৬ টার্মে আওয়ামী লীগ যতটুকু স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছিল, সেটুকুও এই অজ্ঞ মন্ত্রীর ব্যর্থতার কারনে নষ্ট হয়েছে। ফলে সে ভুয়াদের নাম ঠিকই রয়ে গেছে এবং আসল মুক্তিযোদ্ধারা ঠিক জিয়া খালেদা জিয়া নিজামীর শাসনামলে এড়িয়ে যাওয়া অবহেলার মতই এবারও তাই ঘটেছে । মাঝ খান থেকে আরো কিছু নতুন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা পাকা পোক্ত হয়ে গেল। লাল বই নামের আহাদ চৌধূরীর ভ্রান্ত তালিকা নামের পুস্তিকাতেও অনেক ভুয়াদের নাম রয়েছে, যা' কর্তন করা সম্ভব হয়নি বা করা হয়নি অন্যদিকে এই লাল বই নাকি আওয়ামী লীগের যুগান্তকারী একটি সফল পুস্তিকা বলে আহাদ চৌধূরীর ভক্ত অনুরাগীরা গেয়ে বেড়াচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা হতে চাইনা। যেহেতু ওটা ৪৬ বছরের পুরাতন ক্যান্সার। ঐ ক্যান্সার ওভাবেই থাক কিন্তু দুঃখ থেকে যাবে যে জাতিরজনকের কন্যার নিকট থেকেও আমরা আসল মুক্তিযোদ্ধারা বিচারের নামে অবিচারের ঘ্যারাকলে ফেসে গিয়ে অখ্যাত অহবেলিত নাম গন্ধহীন থেকে গেলাম।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
মোকতেল হোসেন মুক্তি